স্বর্ণ ও রুপার দাম বাংলাদেশে: সর্বশেষ বাজার বিশ্লেষণ ও আপডেট

বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপার দাম নিয়ে মানুষের আগ্রহ চিরকালই তুঙ্গে। বিয়ে, উৎসব, সঞ্চয় কিংবা বিনিয়োগ—সব ক্ষেত্রেই স্বর্ণ ও রুপার দাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চলতি বছরে এই দুই মূল্যবান ধাতুর বাজারে নজিরবিহীন উত্থান-পতন দেখা গেছে, যা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। আজকের এই ব্লগে আমরা জানব, স্বর্ণ ও রুপার দাম কেন এতটা ওঠানামা করছে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি কেমন, এবং ভবিষ্যতে কী হতে পারে।

আর্টিকেলের ভিতরে যা রয়েছে

বর্তমান স্বর্ণ ও রুপার দাম কত?

স্বর্ণের দাম (জুন ২০২৫):

  • ২২ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ১,৭৪,৯৮৬ টাকা
  • ২১ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,৬৬,৯৮৬ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,৪৩,৩২১ টাকা
  • প্রচলিত স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,১৮,৪২০ টাকা

রুপার দাম:

  • ২২ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২,৮১১ টাকা
  • ২১ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২,৬৮৩ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২,২৯৮ টাকা
  • প্রচলিত রুপা: প্রতি ভরি ১,৭২৬ টাকা

প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দামও দ্রুত বাড়ছে—২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি গ্রাম এখন প্রায় ১৪,৩৮৯ টাকা, আর রুপার প্রতি গ্রাম ১৩০ টাকা ছাড়িয়েছে।

কেন স্বর্ণ ও রুপার দাম এত বাড়ছে?

আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব

বাংলাদেশের স্বর্ণ ও রুপার দাম সরাসরি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৩,৩০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এতে দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে।

স্বর্ণ ও রুপার দাম বাংলাদেশে: সর্বশেষ বাজার বিশ্লেষণ ও আপডেট

ডলারের দাম ও টাকার অবমূল্যায়ন

গত দুই বছরে টাকার মান প্রায় ৪০% কমে গেছে, ফলে স্বর্ণ ও রুপার দাম আরও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না বাড়লেও, টাকার অবমূল্যায়নের কারণে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ে।

আমদানি সংকট ও সরবরাহ ঘাটতি

বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপার বৈধ আমদানি সীমিত। ফলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কমে গেলে দাম দ্রুত বাড়ে। বিশেষ করে বিয়ের মৌসুমে চাহিদা বাড়লে দাম আরও বাড়ে।

বিনিয়োগ ও নিরাপদ আশ্রয়

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়লে মানুষ স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়ায়। ফলে চাহিদা বাড়ে, দামও বাড়ে। বাংলাদেশে অনেক প্রবাসীও রেমিট্যান্সের টাকা স্বর্ণ কিনে রাখেন।

স্বর্ণ ও রুপার দামের ওঠানামার প্রভাব

  • ভোক্তা পর্যায়ে চাপ: দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির জন্য স্বর্ণ কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিয়ে বা উৎসবে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা কমে গেছে।
  • ব্যবসায়ীর সংকট: দাম বেশি থাকায় গহনার দোকানে ক্রেতা কমে গেছে। আগে যেখানে ৩-৪ ভরি স্বর্ণ কিনতেন, এখন অনেকেই ১ ভরি কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন।
  • অর্থনীতিতে প্রভাব: স্বর্ণ আমদানির খরচ বাড়ায় দেশের আমদানি বিল বাড়ে, যা অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করে। আবার স্বর্ণের দাম বাড়লে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কাও থাকে।

গত এক বছরে স্বর্ণ ও রুপার দামের ট্রেন্ড

  • ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ১,১২,৯০০ টাকা (প্রতি ভরি), যা ২০২৫ সালের মে-জুনে এসে ১,৭৪,৯৮৬ টাকায় পৌঁছেছে।
  • একই সময়ে রুপার দামও বেড়েছে, তবে স্বর্ণের তুলনায় তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল।

স্বর্ণ ও রুপার দাম কিভাবে নির্ধারিত হয়?

স্বর্ণ ও রুপার দাম ঠিক করা হয় একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বাংলাদেশে এই দামের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। তারা নিয়মিত বৈঠক করে দাম ঠিক করে দেন।

আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব

বিশ্ববাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম ওঠানামা করে। এই আন্তর্জাতিক দাম বাংলাদেশের বাজারেও বড় প্রভাব ফেলে। যেমন, বিশ্বের কোথাও দাম বাড়লে বাংলাদেশেও সেই প্রভাব পড়ে।

স্থানীয় চাহিদা ও সরবরাহ

দেশে স্বর্ণ বা রুপার চাহিদা বেশি হলে দাম বাড়ে, আর চাহিদা কম হলে দাম কমে। একইভাবে, যদি বাজারে সরবরাহ কম থাকে, তবে দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়।

ডলারের বিনিময় হার

বাংলাদেশ স্বর্ণ আমদানি করে, আর এই লেনদেন হয় ডলারে। ডলারের দাম বাড়লে স্বর্ণ আমদানির খরচও বাড়ে, ফলে দাম বেড়ে যায়।

সরকারের ভ্যাট ও মজুরি

সরকার স্বর্ণ ও রুপার গহনার উপর ৫% ভ্যাট ধার্য করে। এছাড়া, গহনা তৈরি করতে যে কারিগর খরচ হয়, সেটিকে বলা হয় মজুরি খরচ — যা সাধারণত কমপক্ষে ৬% ধরা হয়।

ধরুন, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে, সেই সাথে ডলারের দামও বেড়েছে। তখন বাজুস বৈঠকে বসে দেখে যে, দেশের বাজারে চাহিদাও বেশ আছে। তাই তারা নতুন দাম ঘোষণা করবে, যেখানে ভ্যাট ও মজুরি খরচ যোগ করে দাম নির্ধারণ করা হবে।

কেন বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপার দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশি?

বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপার দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কেন বেশি—এই প্রশ্নের পিছনে বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ও বাজার-সংক্রান্ত কারণ রয়েছে। নিচে এই পয়েন্টগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

বৈধ আমদানির সীমাবদ্ধতা ও স্থানীয় বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা

বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপা আমদানির জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা ও কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

  • অনেক সময় সরকার আমদানিতে শুল্ক আরোপ করে বা নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করে দেয়, যা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়।
  • ফলে, বাজারে যে স্বর্ণ পাওয়া যায়, তা অনেকাংশেই স্থানীয় উৎস বা অনিয়মিত পথে আসা স্বর্ণের ওপর নির্ভর করে।
  • বৈধভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বর্ণ ও রুপা না আসায় সরবরাহ কম থাকে, আর এতে দাম বেড়ে যায়।

টাকার অবমূল্যায়ন ও ডলারের দাম বৃদ্ধি

বাংলাদেশের মুদ্রা ‘টাকা’র মান ডলারের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে।

  • যেহেতু স্বর্ণ ও রুপা আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারে লেনদেন হয়, তাই ডলারের দাম যত বাড়ে, আমদানিকৃত পণ্যের খরচও বাড়ে।
  • উদাহরণস্বরূপ, যদি আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম একই থাকে, কিন্তু টাকার মান কমে যায়, তাহলে বাংলাদেশে সেই স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়।
  • এই কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে দাম তুলনামূলক বেশি থাকে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি ও স্থানীয় চাহিদা বেশি

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে।

  • অনেক সময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদির কারণে স্বর্ণকে ‘সেফ হ্যাভেন’ বা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে দাম বাড়ে।
  • বাংলাদেশের বাজারেও বিয়ে, উৎসব, সঞ্চয় ইত্যাদি কারণে স্বর্ণের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে।
  • সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হলে স্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যায়।

বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপার দাম বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো—নিয়ন্ত্রিত আমদানি, টাকার অবমূল্যায়ন, এবং উচ্চ চাহিদা। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বাংলাদেশে তা তুলনামূলক বেশি থাকে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যদি আমদানিতে আরও সহজনীতি গ্রহণ করে এবং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে, তাহলে দাম কিছুটা সহনীয় হতে পারে।

ভবিষ্যতে স্বর্ণ ও রুপার দাম কোথায় যেতে পারে?

বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা অনিশ্চিত। ডলারের মূল্য ওঠানামা করছে, আবার আমাদের দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার চাহিদা এবং সরবরাহও বদলাচ্ছে। এই সব কারণ একসাথে মিলে ভবিষ্যতে স্বর্ণ ও রুপার দাম আরও বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই প্রবণতা চলতেই থাকে, তাহলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩,৭০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মানে হলো, আমাদের দেশেও স্বর্ণের দাম বাড়বে।

স্বর্ণ ও রুপার বর্তমান দাম সহজে জানার উপায়

  1. বাজুসের (বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি) ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ দেখুন: এখানে প্রতিদিন দাম আপডেট দেওয়া হয়।
  2. স্থানীয় গহনার দোকান বা অনলাইন শপ: এসব জায়গা থেকে আপনি রিয়েল-টাইম দামের খবর পেতে পারেন।
  3. আন্তর্জাতিক বাজারের খবর দেখুন: কারণ বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে বা কমলে, তার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে।

স্বর্ণ ও রুপার দাম: সাধারণ মানুষের জন্য টিপস

স্বর্ণ ও রুপা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বিশেষ করে বিয়ে, উৎসব ও উপহার হিসেবে। তবে এই মূল্যবান ধাতুগুলোর দাম প্রতিদিন ওঠানামা করে। তাই সাধারণ মানুষ যদি একটু পরিকল্পনা করে কেনাকাটা করেন, তাহলে অনেকটা সাশ্রয়ী হওয়া সম্ভব।

স্বর্ণ ও রুপার দাম বাংলাদেশে: সর্বশেষ বাজার বিশ্লেষণ ও আপডেট

দাম কম থাকলে কেনা লাভজনক

যখন স্বর্ণ বা রুপার দাম কম থাকে, তখন কিনে রাখা একটি বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ ভবিষ্যতে দাম বাড়লে একই জিনিস কিনতে বেশি খরচ হবে। তাই কেউ যদি ভবিষ্যতের কোনো অনুষ্ঠানের জন্য গহনা কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে দাম কম থাকার সময় কেনা অনেক বেশি লাভজনক হতে পারে।

আগেভাগে পরিকল্পনা করলে খরচ কমানো যায়

বিয়ে বা বড় কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের সময় হঠাৎ গহনা কেনার প্রয়োজন হয়। তখন দাম বেশি থাকলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। কিন্তু আগেই যদি পরিকল্পনা করে স্বর্ণ বা রুপা কেনা হয়, তাহলে ভালো দামে এবং চাপ ছাড়া কেনা সম্ভব হয়। এতে পুরো বাজেটের ওপর চাপ পড়ে না এবং মানসিক শান্তিও থাকে।

বাজুস নির্ধারিত দাম যাচাই করুন

গহনা কেনার সময় অবশ্যই বাজুস (বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি) নির্ধারিত দৈনিক দাম যাচাই করে নিন। অনেকে দোকানে অতিরিক্ত দাম রাখে বা বেশি মজুরি নেয়। তাই আপনি যেন ঠকবেন না, সেজন্য স্বর্ণের মূল দাম ও গহনার তৈরির মজুরি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি। দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করুন—”এই গহনার জন্য মজুরি কত নিচ্ছেন?” এবং লিখিত রসিদ নিতে ভুলবেন না।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

স্বর্ণ ও রুপার দাম কীভাবে নির্ধারণ হয়?

বাংলাদেশে স্বর্ণ ও রুপার দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। এই দাম নির্ভর করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর — যেমন:

  • আন্তর্জাতিক বাজারের দাম: বিশ্ববাজারে স্বর্ণ ও রুপার মূল্য বাড়লে, বাংলাদেশেও সেই প্রভাব পড়ে।
  • স্থানীয় চাহিদা ও সরবরাহ: বাজারে চাহিদা বেশি হলে দাম বাড়ে, আর চাহিদা কমলে দাম কমে।
  • ডলারের বিনিময় হার: যেহেতু স্বর্ণ আমদানিতে ডলার লাগে, তাই টাকার মান কমলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়।
  • সরকারি ট্যাক্স ও মজুরি: গয়না তৈরির খরচ ও সরকারের ট্যাক্সও এই দামে যুক্ত থাকে।

বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত?

২০২৫ সালের হিসাবে, বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি প্রায় ১,৭৪,৯৮৬ টাকা। তবে প্রতিদিন এই দাম পরিবর্তন হতে পারে। কেননা বাজারে চাহিদা ও আন্তর্জাতিক দামের ওঠানামা সব সময় ঘটছে।

রুপার দাম কেন তুলনামূলক কম?

রুপা পৃথিবীতে স্বর্ণের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়া যায়। তাছাড়া গহনা ও বিনিয়োগে রুপার ব্যবহার স্বর্ণের তুলনায় কম, তাই এর দামও কম থাকে।

স্বর্ণ ও রুপার দাম প্রতিদিন পরিবর্তন হয় কেন?

এই দাম প্রতিদিন পরিবর্তন হয় কিছু বিশেষ কারণে:

  • আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য উঠানামা
  • ডলারের দাম বাড়া-কমা
  • দেশের ভেতরে চাহিদা ও সরবরাহ
  • রাজনৈতিক ও আর্থিক অনিশ্চয়তা

এই কারণেই প্রতিদিন দাম একটু-একটু করে কমে বা বাড়ে।

গহনা কেনার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখা উচিত?

গহনা কেনার সময় এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ:

  • বাজুস নির্ধারিত দাম অনুযায়ী কিনুন
  • ক্যারেট যাচাই করুন (২২ ক্যারেট না ১৮ ক্যারেট ইত্যাদি)
  • মজুরি খরচ স্পষ্টভাবে জানুন
  • অরিজিনালিটি সার্টিফিকেট নিন, যাতে গহনার খাঁটি মান যাচাই করা যায়।

স্বর্ণ বা রুপা বিনিয়োগ হিসেবে কেমন?

স্বর্ণ ও রুপা অনেকেই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করেন, বিশেষ করে যখন বাজারে মন্দা বা আর্থিক অনিশ্চয়তা থাকে। দীর্ঘমেয়াদে এদের দাম সাধারণত বাড়তেই থাকে।

স্বর্ণ ও রুপার দাম কোথায় দেখতে পাবো?

আপনি সর্বশেষ স্বর্ণ ও রুপার দাম জানতে পারেন:

  • বাজুসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে
  • বাজুসের ফেসবুক পেজে
  • স্থানীয় গহনার দোকানে বা জুয়েলার শপে

স্বর্ণ ও রুপার দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কী প্রভাব পড়ে?

দাম বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য গহনা কেনা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। বিয়ে বা উৎসবের সময় স্বর্ণ কিনতে সমস্যায় পড়তে হয়।

স্বর্ণ ও রুপার দাম কমার সম্ভাবনা আছে কি?

হ্যাঁ, যদি—

  • আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে,
  • ডলারের দর কমে,
  • দেশের ভেতরে চাহিদা কমে যায়,

তাহলে স্বর্ণ ও রুপার দাম কমার সম্ভাবনা থাকে।

স্বর্ণ ও রুপার দাম সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পেতে কী করতে হবে?

নিয়মিত দাম জানতে আপনি করতে পারেন:

  • বাজুসের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ ফলো করুন
  • আমাদের ব্লগ নিয়মিত ভিজিট করুন — এখানে প্রতিদিনের সর্বশেষ আপডেট পাবেন।

উপসংহার

এই অংশটি পাঠকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য লেখা হয়েছে। লেখার শেষে, এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আমন্ত্রণ জানায় যাতে পাঠকরা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও মতামত শেয়ার করতে উৎসাহিত হন। স্বর্ণ ও রুপার দাম নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বা মতামত কী? এখানে প্রশ্ন করে পাঠকদের ভাবাতে চাওয়া হয়েছে—তারা কি এই দাম নিয়ে সন্তুষ্ট, নাকি অসন্তুষ্ট? দাম কীভাবে তাদের ওপর প্রভাব ফেলেছে, সেটাও বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। আপনি কি সম্প্রতি স্বর্ণ বা রুপা কিনেছেন, নাকি দাম বেড়ে যাওয়ায় পিছিয়ে আছেন?”
এই লাইনটি আরও ব্যক্তিগতভাবে পাঠককে যুক্ত করতে চায়। কেউ যদি স্বর্ণ বা রুপা কিনে থাকেন, তারা কেন কিনলেন, কত দামে কিনলেন—সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আবার যারা দাম বেশি বলে কিনছেন না, তাদেরও মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিচে কমেন্টে আপনার মতামত শেয়ার করুন।

Scroll to Top